
বহুল প্রত্যাশিত বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় হচ্ছে
- আপলোড সময় : ২২-০৪-২০২৫ ১২:৫৫:৪২ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২২-০৪-২০২৫ ১২:৫৫:৪২ অপরাহ্ন


স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় বহুল প্রত্যাশিত বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় হচ্ছে। যা ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়’ নামে অভিহিত হবে। সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রধান বিচারপতির হাতে। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। পৃথক সচিবালয়ের অধ্যাদেশ জারির কাজ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, পৃথক সচিবালয় বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে সহায়ক। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বিচারিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিচার বিভাগের প্রধান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। খসড়া অনুযায়ী সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রধান বিচারপতির হাতে। এটি সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা দফতরের আওতাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে না। সচিবালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় অনুমোদনে প্রধান বিচারপতিকে চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত খসড়া প্রণয়ন করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রণীত এ খসড়ার ওপর ইতোমধ্যে মতামত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এখন সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ জারির কাজ চলছে বলে আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয়ের অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এখন চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই চলছে। আশা করছি দ্রুতই সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ জারি করবে সরকার।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, ক. সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় দেশের বিচার প্রশাসন পরিচালনায় সুপ্রিম কোর্টকে সহায়তা প্রদান করতে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে। খ. সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন সাপেক্ষে রাজস্ব আদালতগুলো ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা, এখতিয়ার, ক্ষমতা ও গঠন নির্ধারণ করবে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়। গ. হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সব আদালত বা ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ করবে। ঘ. সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্য সম্পাদন করবে। ঙ. অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়। চ. অধস্তন আদালত ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের বাজেট ব্যবস্থাপনা করবে। ছ. অধস্তন আদালত ও বিচারকদের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান করবে। জ. সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। ঝ. অধস্তন আদালতের বিচারক ও সহায়ক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ। ঞ. বিচার সেবার মানোন্নয়ন ও বিচার বিভাগের সংস্কারে প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনা। ট. অন্যান্য দেশের বিচার বিভাগীয় সংস্থা, সাংবিধানিক আদালত এবং বিচার বিভাগ ও মানবাধিকার সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সম্মতি স্মারক সম্পাদন ও সহযোগিতা প্রদান। ঠ. প্রাসঙ্গিক কোনো আইনের অধীনে অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব পালন।
উল্লিখিত কার্যাবলী ছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় দেশের বিচার প্রশাসন পরিচালনায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক আরোপিত দায়িত্ব পালন এবং ধারা ৮ এর অধীন গঠিত কোনো কমিটি কর্তৃক আরোপিত অন্যান্য যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে। অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সচিব সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হবেন। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিব সরকারের সিনিয়র সচিবের সমমর্যাদা ও সুবিধাদি ভোগ করবেন।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ১. সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় সরকারের যেকোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর বা অফিসের সঙ্গে অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে। ২. কোনো ব্যক্তি বা সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা দপ্তর সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সঙ্গে কোনো বিষয়ে যোগাযোগের প্রয়োজনবোধ করলে সরাসরি সচিবের সঙ্গে বা তার দায়িত্ব পালনরত অপর কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। ৩. প্রধান বিচারপতি বিধি বা স্থায়ী আদেশ দ্বারা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কার্যাবলী বণ্টন ও পরিচালনার ব্যবস্থা করতে পারবেন।
১. এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণে প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগীয় নীতি নির্ধারণ, কর্মকৌশল উদ্ভাবন এবং দেশের বিচার প্রশাসনকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতির সমন্বয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখপূর্বক বিচার প্রশাসন সংক্রান্ত এক বা একাধিক কমিটি গঠন করতে পারবেন। ২. কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য কমিটির সভাপতি হবেন। ৩. কমিটি তার নিজস্ব কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবে। ৪. কমিটি তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সময়ে সময়ে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করবে।
১. সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রত্যেক অর্থ বছরের জন্য তার কার্যপরিধিভুক্ত দফতর ও আদালতগুলোর জন্য অনুমিত ব্যয় সম্বলিত একটি বিবৃতি ওই অর্থ বছর শুরু হওয়ার অন্তত তিন মাস আগে প্রস্তুত করবে। ২. উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিবৃতিতে বিচার কর্ম-বিভাগে নিযুক্ত বিচারক, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে প্রদেয় বেতন ও ভাতাদি এবং দেশের বিচার প্রশাসন পরিচালনার প্রশাসনিক ব্যয়সহ গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ৩. প্রধান বিচারপতি উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বিবৃতি অর্থমন্ত্রীর কাছে সরকারের বর্ধিত আর্থিক বিবৃতির সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য প্রেরণ করবেন। ৪. বিচার কর্ম-বিভাগে নিযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি : সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি এবং সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়সহ দেশের বিচার প্রশাসনের সব প্রশাসনিক ব্যয় সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায়যুক্ত ব্যয় হবে। ৫. উপ-ধারা (৩) মোতাবেক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের অনুকূলে সরকার কর্তৃক বাৎসরিক বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ থেকে ব্যয় করার ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করা আবশ্যক হবে না। ৬. এই ধারার বিধান দ্বারা সংবিধানের ১২৮ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত মহাহিসাব-নিরীক্ষকের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করা যাবে না।
তবে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় অনুমোদনে প্রধান বিচারপতি চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, প্রধান বিচারপতি আদেশ দ্বারা আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিব বা অন্য কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ওই বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের মধ্য থেকে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা এবং সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে কর্মরত-কর্মচারীদের মধ্য থেকে সচিবালয়ের কর্মচারী পদায়ন করতে পারবেন। এই অধ্যাদেশের বিধানাবলি সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের অসামরিক পদে নিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চাকরির শর্তাবলি সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ে নিযুক্ত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের জন্য প্রণীত আইন ও বিধিগুলো প্রযোজ্য হবে।
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বেতন, ভাতা, ছুটি, ভবিষ্যৎ তহবিল, গ্রাচ্যুইটি, পেনশন ও চাকরির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ে নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের জন্য প্রণীত আইন ও বিধিগুলো প্রযোজ্য হবে।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ে নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং অধস্তন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রহণীয় শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য শৃঙ্খলা ও আপিল সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ে নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং অধস্তন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের ক্ষেত্রে এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি প্রযোজ্য হবে।
১. সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের যাবতীয় দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য সচিব প্রধান বিচারপতির কাছে দায়ী থাকবেন। ২. সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রধান বিচারপতির সার্বিক নিয়ন্ত্রণে সচিবের কাছে দায়ী থাকবেন এবং সচিবের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে তাদের কাজকর্ম পরিচালনা করবেন।
১. প্রধান বিচারপতি স্বউদ্যোগে কিংবা ওই আইনের ধারা ৮ অনুসারে গঠিত কোনো কমিটির মাধ্যমে সময়ে সময়ে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনসহ অধস্তন আদালতের বিচারকের পদ, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় ও অধস্তন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদ সৃজন, বিলোপ বা বিন্যাস করার জন্য সুপারিশমালা প্রস্তুত করবেন।
২. প্রধান বিচারপতি উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রস্তুত করা সুপারিশমালা সচিবের মাধ্যমে সরকারের কাছে প্রেরণ করবেন। তবে এ বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, প্রধান বিচারপতি অনেকগুলো প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই মধ্যে অনেকগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে। বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠাও বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় বিগত ৫০ বছরে যা হয়নি তার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে বিচার বিভাগে। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের মানুষ সুফল পেতেই থাকবে। এখানে একটি মামলা পরিচালনা, দুটি মামলার আদেশ দেয়ার চেয়ে একজনকে জামিন দেয়া বা না দেয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজানো। পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা হলে দেশের মানুষ একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ পাবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ